ছোট পরিবার ও এক ছেলে হওয়ার বিড়ম্বনা ! রুটি রুজির জন্য একটা চাকরি তো করতেই হয়, এক্কেবারে রুটিন মাফিক সব কিছু, মাকে দেখতে ঘর বাড়ি জমি জিরাতের খবর নিতে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই গ্রামের বাড়ি যেতে হয় ! বয়স আর রোগ শোকে কাতর মা ই এখন বলছেন তাঁর অনুপস্থিতিতে যেন আর গ্রামে না থাকি ।
যখন বাবা ছিলেন ঈদ বা যেকোনো উৎসবে ধ্রুবদের নিয়ে অনেক আনন্দের হিল্লোল বুকে নিয়ে দেশে যেতাম, কয়েকদিন বেশ মজা হতো, একদিন অসুস্থ বাবাকে নিয়ে ঢাকা এলাম, কি রোগে ধরল, ডাক্তার ওষুধপত্রে আরোগ্য হলো না, আই সি ইউ, লাইফ সাপোর্টে বাবা, হাসপাতালে আমি একাকী রাত দিন অহর্নিশ, কোন কোন সময় গভীর রাতে দূরে কোথাও ওষুধ আনতে যেতে হতো, পাশে কেউ নেই, ধ্রুব আর ওর মা, কোন এক বন্ধু বা ডাক্তার । চলে গেলেন বাবা আমায় এতিম করে, আরো বিস্ময়ের ব্যাপার হলো বাবা জীবিত অবস্থায় মায়ের গল ব্লাডার স্টোন অপারেশনে হাসপাতালে আমি একাই ছিলাম, আমারও একটি মাত্র ছেলে, ওর ভালো বন্ধু দরকার, ভবিষ্যতে দেখে শুনে সহানুভূতিশীল ভালো কোন পরিবারে আত্মীয়তা করার ইচ্ছা পোষণ করি, হ্যাঁ আমার অনেক বন্ধু আছেন, তাঁরা আমার পরম আত্মীয় !!!
Comments
Post a Comment